ইসলামোফোবকে জবাব-২ঃ


ইয়াযীদের মদীনা আক্রমন নিয়ে মিথ্যাচারের পর জনৈক ভদ্দরলোক ইসলামী হুদুদ আইন ও তার বাস্তবায়নে সৌদী ত্রুটি নিয়ে লিখেছেন। সেটা রিফিউট করার আগে আপনাদের একটা সিনারিও বলি। 

এইযে আপনি যিনি পড়ছেন, যদি পুরুষ হন তবে আপনাকেই ধরে নিন, আর যদি নারী হন, তবে আপনার ভাইকে ধরে নিন। তো আপনি বা আপনার ভাই ধরুন একজন মেয়ের সাথে শারিরিক সম্পর্ক করেছেন, তার কনসেন্টের ভিত্তিতে। ধরুন সে বিবাহিতা। একদিন তার স্বামী তাকে সন্দেহ করায় সে অভিযোগ করে দিলো সে স্বেচ্ছায় আপনার সাথে যৌনসম্পর্ক করে নি, বরং আপনি তাকে জোর করে ধর্ষণ করেছেন৷ ডিএনএ রিপোর্টে প্রমাণ হিসেবে আপনার সিমেন পাওয়া যাবে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে আপনি ফেঁসে যাবেন। অথচ এটা হয়েছিলো মিউচুয়াল কনসেন্টের ভিত্তিতে! এই সমস্যাটি দূর হতো কীভাবে? সাক্ষী উপস্থিত করাতে পারলে। এছাড়া আর কোনোভাবে সম্ভব? কোনোভাবে একটি ধর্ষণকে সেটা কি ধর্ষণ নাকি মিউচুয়াল ফিজিকাল রিলেশন, এটা নির্ণয় করা সম্ভব? 

যদি এতোটুকু বুঝে থাকেন, তাহলে বুঝবেন ইসলামী শরীয়াহ কেন সাক্ষী হাজির করতে পারাকে জরুরী করেছে। উপরোক্ত কেইসে ধরুন এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা আপনি আর ঐ মহিলা ছাড়াও আরো দুজন জানে, বা এমন কেউ আছে যে আপনাদের মধ্যে ফিশি কিছু ব্যাপার লক্ষ্য করেছে, তারা সাক্ষী হিসেবে আসলো, তখন কিন্তু এটা মিউচুয়াল হিসেবে প্রমাণ সহজ হবে। আর এছাড়াও আরো অনেক পদ্ধতি আছে শরীয়ায় অপরাধী বের করার। 

কিন্তু একটা বার ভাবুন, আপনি বা আপনার ভাই ধর্ষণ না করেও ধর্ষণের জন্য শাস্তি পেলেন, মৃত্যুদন্ড পেলেন ব্যাপারটা কেমন হবে? আর আপনাকে ফাঁসিয়ে দিয়ে সেই মহিলা সুখে সংসার করবে! এটা কি ন্যায়বিচার হবে? 

নিরপরাধ শাস্তি পাবে, এটা আরো নির্মম হবে, যেমনটা ভদ্দরলোক একটি উদাহরণ টেনেছেন আয়েশা দুহোলোর ক্ষেত্রে হয়েছিলো। (ভদ্দরলোকের ৭ নং পয়েন্ট) এই ঘটনাটিতে আমি অবশ্যই আন্তরিকভাবে দুঃখ পেয়েছি! কিন্তু মানুষ তো, ভুল হবেই! সবারই হয়। পৃথিবীতে কতোশতো নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হয়, প্রোপাগান্ডা চালিয়ে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়, মিথ্যা অভিযোগ এনে কারাগারে ঢোকানো হয়। সারাবিশ্বে এসবের স্বীকার বোধহয় যতো মুসলমান হয়েছে, অন্য কেউ ততো হয়নি। একটি তাফসীর গ্রন্থ লেখার অপরাধে সাইয়্যেদ কুতুবকে শহীদ করা হয়েছিলো। তাঁর ইতিহাসও ঘাঁটবেন একটু। এরকম হাজারো এক্সাম্পল আছে নিরপরাধ হত্যার। মুসলমান বাদেও প্রচুর আছে। ক্ষুদিরামের হত্যার কথাই মনে করে দেখেন। এছাড়া আরো কিছু দেখতে হলে wrongful execution list লিখে সার্চ দিবেন গুগলে, লিস্ট চলে আসবে। 

আচ্ছা সাক্ষী কেন দরকার এই বিষয়টা তো ক্লিয়ার? এবার তাহলে ভদ্দরলোকের পয়েন্টগুলোতে আসি। 

১. ধর্ষণের ৪ জন সাক্ষী লাগবে। 

এই কথা ভুল। যিনা/ব্যভিচারের ক্ষেত্রে ৪ জন সাক্ষী লাগবে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে ৪ জন যদি হয়, তবে তো বেশ ভালো। না হলে অন্তত ২ অথবা অন্য কোন পদ্ধতিতে দোষী প্রমাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা গেলে সাক্ষীরও প্রয়োজন নেই। আধুনিক ডিএনএ টেস্ট ধর্ষণ নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত হওয়ার পক্ষে ফাতওয়া দেয়া হয়েছে। এরপর আছে মুবাহালা। এটা ইসলামী পদ্ধতি। যে অভিযোগ করেছে সে আল্লাহর কসম করে বলবে, তার অভিযোগ যদি সত্য না হয়, তবে আল্লাহ যেন তার ওপর অভিশাপ দেন। আর সাস্পেক্টকেও অনুরূপ কসম করতে হবে। এখন এটা খুবই সেন্সিটিভ বিষয়, যারা মুমিন নন, তাদের কাছে শুনতে অড হলেও মুমিনদের জন্য এটা অবশ্যই সেন্সিটিভ। পুরো আখিরাত নষ্ট হওয়ার মতোই ব্যাপার। তার চেয়ে তাওবা করে শাস্তি গ্রহণ করলে ইহকাল না হোক, পরকাল সিকিউর হবে। আর সুন্দর ব্যাপার হচ্ছে, এমনটাই হতো৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপরাধী দোষ স্বীকার করে ফেলতো। 

এখন ব্যাপার হচ্ছে আজকের পৃথিবীর কনটেক্সটে আপনি হয়তো বলবেন এইসব দিয়ে কাজ হবেনা। কিন্তু প্রকৃত ইসলামী সমাজব্যবস্থা এমনই। কাল্পনিক মনে হলেও এমনই ছিলো। রাসূল (স) এর কাছে এসে মানুষ যিনার কথা স্বীকার করতো নিজে থেকেই! ব্যভিচারের স্বীকারোক্তি দিতো, তাকে পাথর মেরে মারা হবে জেনেও। সেই গর্ভবতী মহিলার কাহিনি তো সবাই জানেন, যে গর্ভবতী হওয়ার পর এসে স্বীকার করেছিলো সে ব্যভিচার করেছে। পরে রাসূল (স) সন্তান প্রসব করে সন্তানকে দুধ খাওয়ানো পর্যন্ত সময় নিয়ে তারপর তাকে আসতে বলেন। সে আসলে তাকে পাথর মেরে হত্যা করা হয়। অথচ সেই মহিলা কি এই কথা লুকিয়ে রাখলে পারতো না? কি দরকার ছিলো তার শাস্তি পাওয়ার? এটা হচ্ছে তাকওয়া, আল্লাহর ভয়। আর তখনকার মানুষজন ছিলো মুত্তাকী, তাই তারা স্বীয় অপরাধ স্বীকার করে নিতো, শাস্তি মাথা পেতে নিতো। তাই তখন অপরাধও ছিলো খুব কম! শান্তি চান? তাহলে সেই তাক্বওয়ার সমাজ প্রতিষ্ঠা করুন! 

২. নারী সাক্ষী দিতে পারবেনা।

সীরাত গ্রন্থগুলিতে পাবেন উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়িশা (রা) এর ব্যাপারে যখন মুনাফিকরা ব্যভিচারের অপবাদ রটায়, তখন রাসূল (স) দাসী বারীরাকে (রা) জিজ্ঞেস করেন আয়িশার (রা) ব্যাপারে। এই ঘটনা দুটো ইস্যু সলভ করে- এক, মহিলা সাক্ষ্য দিতে পারবেনা মর্মে ভদ্দরলোকের মিথ্যাচার এবং দুই, দাসী বা নিচু শ্রেণী সাক্ষী দিতে পারবেনা বলে ভদ্দরলোকের মিথ্যাচার (তার পোস্টের ৯ নং পয়েন্ট)৷ এমনকি সৌদিতেও একজন পুরুষ সাক্ষীর পরিবর্তে দুইজন নারী সাক্ষ্য দিতে পারে। (তার রেফারেন্স বুক উইকি থেকেই দিলাম) অর্থাৎ এই ব্যাপারেও ভদ্দরলোক স্ট্রেটকাট মিথ্যাচার করেছেন। 

৩, ৪, ৫ নং পয়েন্ট এর ঝামেলা খুঁজে পাইলাম না। উনি কি ধর্ষণের বিচার নিয়ে হুদুদের সমালোচনা করছেন নাকি নারী অধিকার আন্দোলন করছেন বুঝলাম না। 

৬. ম্যারিটাল রেইপের পয়েন্ট। এটা নিয়ে অনেক আলোচনা ইতোপূর্বে হয়েছে। বিস্তারিত জানতে ডা. শামসুল আরেফিন শক্তি ভাইয়ের 'মানসাঙ্ক' বইটি পড়ুন।

৭. আয়েশা দুহোলোর ঘটনা। এটা নিয়ে উপরে আলোচনা করেছি। 

৮. ক্বাতিফ রেইপ কেস। 

এটা নিয়ে বিস্তর লেখালিখি আছে। ব্যাপার হচ্ছে আপনারা সবসময় চান, সবকিছু আপনাদের মনমতো হবে। ইসলামের আইন যেটা আপনাদের মনমতো হবে সেটা নেবেন, যেটা হবেনা সেটার বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন। এই ক্বাতিফ রেইপ কেসের ব্যাপারটিই দেখুন। এখানে ধর্ষকদের কিন্তু ইসলামী আইনে ৮০-১০০০ দোররা রেঞ্জে শাস্তি হয়েছে প্লাস বিশাল অংক জরিমানা দিতে হয়েছে প্লাস দশ বছরের মতো জেল হয়েছে। সেটা হাইলাইট করা হলো না কেন? আর ক্বাতিফের যে শাস্তি হয়েছে সেটা রেইপ ভিক্টিম হিসেবে না দেখে, একজন নরমাল মুসলিম হিসেবে দেখুন! সে একজন নন মাহরাম পুরুষের সাথে গাড়িতে ছিলো ঐসময়। এটা ইসলামসম্মত নয়, হারাম, এছাড়াও এক্ষেত্রে খুব সম্ভবত যিনার এলেগেশন ছিলো, তাই ইসলামী আইনেই তার বিচার হয়েছে, ওয়াল্লাহু আ'লাম। সে রেইপড হওয়ায় আমাদের সমবেদনা আছে, কিন্তু জাস্টিসকে ওভারসি করার সুযোগ নেই। আল্লাহর আইনের ক্ষেত্রে এক চুলও ছাড় নেই! এটা তো ন্যায়বিচারের উদাহরণ! এটাকে ইসলামের বিপক্ষে কীভাবে যুক্তি হিসেবে দেখাতে পারেন?

৯. দাসী-নিচু শ্রেণি সাক্ষ্য দিতে পারবেনা, যা মিথ্যা এবং উপরে খন্ডন করেছি। 

১০. ধর্ষক যদি আল্লাহকে সাক্ষী রেখে ধর্ষিতাকে বিয়ে করে, তাহলে শাস্তি মাফ, বিয়ে দেয়া হবে। 

আঊযুবিল্লাহ! ওয়াল্লাহি, আই চ্যালেঞ্জ ইউ! একটা এভিডেন্স আনেন শরীয়াহ থেকে, একটা! জাস্ট ওয়ান! আমি মেনে নিবো! ব্রিং ওয়ান এভিডেন্স! ইফ ইউ ক্যাননট, দেন এপোলোজাইজ ইন আ পাব্লিক পোস্ট! ইসলামী শরীয়াহর বিরুদ্ধে, হুদুদের বিরুদ্ধে এতোবড়ো মিথ্যা এলেগেশন আনার সাহস কে দিলো আপনাকে? ব্রিং এভিডেন্স অর এপোলোজাইস!

.. 

ভদ্দরলোকের সব পয়েন্ট শেষ। এবার বলি শোনেন, রেইপ আর যিনা/ব্যাভিচার সমান জিনিস না। রেইপকে ইসলামী পরিভাষায় ইগতিসাব বলে। আর কোনো কোনো আলিম বলেন, রেইপ করলে আরো একটি বড়োসড়ো অপরাধ সংঘটিত হয় যা সূরা মায়িদার ৩৩ নং আয়াত অনুসারে 'হিরাবাহ' বা 'ফাসাদ ফিল আরদ্ব' হিসেবে পরিচিত। এর শাস্তি হলো মৃত্যুদন্ড, ক্রুসিফিকেশন, দেশান্তর। সেভায়ারিটির উপর নির্ভর করে শাস্তি দিবে জুরি। তবে অধিকাংশ উলামার মতেই রেইপের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই, ফাসাদ ফিল আরদ্ব ও ইগতিসাব হলে। চার মাযহাব অনুসারেই ক্রুসিফিকেশনের নির্দেশ। নো এসকেপ! আপনার রেফারেন্স রাষ্ট্র সৌদীতেও রেইপের জেনারেল রুলিং মৃত্যুদন্ডই!

এমনকি রাসূল (স) তাঁর জীবদ্দশাতেই রেইপের শাস্তি প্রদান করে মৃতুদন্ড দিয়েছেন। 

হাদীসটিঃ 

‘আলক্বামাহ ইবনু ওয়াইল (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে জনৈকা মহিলা সলাত আদায়ের উদ্দেশে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে এক ব্যক্তি তাকে নাগালে পেয়ে তার উপর চেপে বসে তাকে ধর্ষণ করে। সে চিৎকার দিলে লোকটি সরে পড়ে। এ সময় অপর এক ব্যক্তি তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সে (ভুলবশত) বললো, এ লোকটি আমার সঙ্গে এরূপ করেছে। এ সময় মুহাজিরদের একটি দল এ পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। স্ত্রীলোকটি বললো, এ লোকটি আমার সঙ্গে এরূপ করেছে। অতএব যার সম্পর্কে মহিলাটি অভিযোগ করেছে তারা দ্রুত এগিয়ে লোকটিকে ধরলো। অতঃপর তারা তাকে তার নিকট নিয়ে আসলে সে বললো, হাঁ, এ সেই ব্যক্তি। তারা তাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হলেন। তিনি তার সম্পর্কে ফায়সালা করতেই আসল অপরাধী দাঁড়িয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমিই অপরাধী। তিনি ধর্ষিতা মহিলাটিকে বললেনঃ তুমি চলে যাও, আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করেছেন আর নির্দোষ ব্যক্তি সম্পর্কে উত্তম কথা বললেন। যে ধর্ষণের অপরাধী তার ব্যাপারে তিনি বললেনঃ তোমরা একে পাথর মারো। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সে এমন তাওবাহ করেছে যে, মাদীনাহবাসী যদি এরূপ তাওবাহ করে, তবে তাদের পক্ষ হতে তা অবশ্যই কবুল হবে।

[৪৩৭৮] তিরমিযী, আহমাদ।

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৩৭৯ 

এই হাদীসটি কিন্তু অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয়। ধর্ষণ নির্ধারণ করা কিন্তু কষ্টকর ব্যাপার। আর তখন ওহীর ব্যবস্থা ছিলো। মহিলাটি ভুল করলেও রাসূল (স) সেটি নির্ণয় করার সুযোগ ছিলো। আর তারা তখন তাকওয়াবান ছিলো, ফলে দোষী নিজে থেকে এসে দোষ স্বীকার করেছে৷ এরপর তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। এমন কিন্তু হয়নি যে রাসূল (স) শাস্তি লাঘব করেছেন অথবা বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছেন (যেমনটা ভদ্দরলোক ইসলামী আইন হিসেবে দাবী করেছেন)। আবার তিনি মহিলাটিকে দোষারোপও করেন নি। তিনি জিজ্ঞেস করেননি সে মাহরাম ছাড়া একা কেন পথ চলছে। ধর্ষণের ব্যাপারটা সেন্সিটিভলি হ্যান্ডেল করেছেন। এই ঘটনায় সাক্ষীর ব্যবস্থা ছিলো না, রাসূল (স) জেরা করেছেন। এ থেকেও বোঝা যায় যে, সাক্ষী না মিললে অন্য যেকোন পদ্ধতিতেও ধর্ষণ নিশ্চিত করা যাবে। 

এবার আসি সৌদী নিয়ে এতো কথা, পুরনো ইতিহাস নিয়ে কেন কথা নাই। যদিও সৌদি আইনকেও ভদ্দরলোক রিফিউট করতে ব্যর্থ৷ যত যাইহোক, উইকিপিডিয়া গ্র‍্যাজুয়েট তিনি, কতোই আর করবেন! আবার কোন ভাই নাকি তাকে বলেছেন, এগুলো সব ইসলামসম্মত পয়েন্ট। তিনিও নিশ্চয়ই ভদ্দরলোকের মতো উইকিপিডিয়া মুফতি হবেন! যাহোক, অনেকে বলতে পারেন সৌদীকে আমরা কেন মানদণ্ড ধরিনা। তাহলে কি ইসলামী আইনগুলো ইউটোপিয়ান? বাস্তবে কোন প্রয়োগ নেই? ওয়েল, ১৩০০ বছরের লেগেসী আছে আমাদের। খিলাফতের ইতিহাস আছে। ঘাঁটুন, ইসলামের স্বর্ণযুগ ঘেঁটে আসবেন। তখন দেখবেন শরীয়াহ আইনের তাত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক প্রয়োগের কি দারুণ সমন্বয়! যদি দেখতে না পান, বুঝতে হবে আপনি অন্ধ হয়ে গেছেন। সেই অন্ধত্ব চর্মচক্ষুর না, হৃদয়ের। 

এই লেখায় বিশাল সাহায্য পেয়েছি প্রিয় ভাই Wahidul Hady থেকে। শারঈ সম্পাদনা করেছেন উস্তাদ আবুল হাসানাত কাসিম

বারাকাল্লাহু ফী'কুম।

Post a Comment

1 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.