হামজা জর্জিস তাঁর বই 'দ্য ডিভাইন রিয়েলিটি'তে একটা চমৎকার উদাহরণ এনেছেন। ধরেন আপনি এই পোস্টটা পড়তে পড়তে হঠাৎ চোখ বুজলেন। চোখ খুলে নিজেকে আবিষ্কার করলেন একটা প্লেনে। আপনি প্লেনের সিটে বসে আছেন। সিটটা খুব কম্ফোর্টেবল, খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা, নেটফ্লিক্স সব মিলিয়ে সুখী পরিবেশ। যা চাইবেন, তা-ই পাচ্ছেন। এখন বলুন, আপনি কি সুখী?
না। আপনি সুখী না। বরং আপনার মাথায় এই প্রশ্নগুলো বারবার আসবে। আপনি এই প্লেনে কীভাবে এলেন? এসব কমফোর্ট কেন পাচ্ছেন? প্লেন কোথায় যাচ্ছে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনাকে ক্রমাগত তাড়িয়ে বেড়াবে। আপনি যতোই সুখে ডুবে থাকার চেষ্টা করুন, এই প্রশ্নগুলোর বেড়াজাল থেকে মুক্তি পাবেন না। বড়জোর আপনি একটা টেম্পোরারি সুখের ইলিউশন তৈরি করতে পারেন নিজের মধ্যে, কিন্তু কখনোই প্রকৃত সুখ আপনি পাবেন না, যতক্ষণ না প্রশ্নগুলোর উত্তর মিলছে।
একই জিনিস এখনোও ঘটছে। আপনি জানেন না এই বিশ্বজগৎ কোথা থেকে এলো, কীভাবে এলো, আপনি কেন আছেন, কোথায় যাবেন। আর এসব প্রশ্ন আপনার মননে সর্বদা ঘুরপাক খায়। কিন্তু আপনি আপনার বস্তুবাদী মগজকে ব্যস্ত রাখেন বৈষয়িক সুখে। আপনি নিজেকে বোঝান, এটাই সুখ। এই খাওদাও ফূর্তি করোই সুখ। কিন্তু ডীপ ইনসাইড, আপনি জানেন, আপনার ভেতর প্রকৃত সুখ নেই, সেই প্লেনের যাত্রীর মতন। সারাক্ষণ কিছু প্রশ্ন আপনাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। আত্মপরিচয়হীন জীবন সুখ আনে না..
হাঁ ভাইয়া! ঠিক বলছেন, আমি আসলে ঈশ্বরে বিশ্বাস করেও সুখী না। কারণ এখনো পর্যন্ত এই উত্তর খুঁজে পেলাম না ঈশ্বরকে সৃষ্টি করেছে কোন ঈশ্বর? আর মহাবিশ্ব সৃষ্টির আগে ঈশ্বরই বা কী করতেন? আমি জানি এসবের অনেক গোঁজামিল উত্তর আছে।
ReplyDeleteব্যাসিক ফিলোসফি জানলেই ঈশ্বরকে কোন ঈশ্বর সৃষ্টি করেছে তা জানতেন। Infinite Regression নিয়ে পড়ে দেখতে পারেন।
DeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDelete❤️❤️
ReplyDeleteজাযাকাল্লাহ ভাই
ReplyDelete