বিজ্ঞান কি নাস্তিকতার দিকে নিয়ে যায়?

 বিজ্ঞান কি নাস্তিকতার দিকে নিয়ে যায়?

ফিলোসফি, সায়েন্স এন্ড রিলিজিয়ন কোর্স করতে গিয়ে প্রফেসর জন স্কেলেনবার্গের চমৎকার একটি ব্যাখ্যা পেলাম। তিনি বলেছেন, অনেকে সায়েন্টিফিক ওয়ার্ল্ডভিউ বলতে ন্যাচারালিস্টিক ওয়ার্ল্ডভিউ বুঝেন (ন্যাচারালিস্টিক ওয়ার্ল্ডভিউ হচ্ছে এটা বিশ্বাস করা যে ন্যাচারের বাইরে কিছু নেই, সুপারন্যাচারাল কিছুর অস্তিত্ব নেই) এবং এই ভুলটা বেশিরভাগ নাস্তিকরা করে।
তিনি বলেন, সায়েন্টিফিক ওয়ার্ল্ডভিউ মানে হলো কোনো কিছুকে বিজ্ঞানের 'বেস্ট রেজাল্টস' দিয়ে যাচাই করা। মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রফেসর বিজ্ঞানের 'ফ্যাক্টস' ও বলেন নি, বলেছেন 'বেস্ট রেজাল্টস'। আর নাস্তিকরা বিজ্ঞান পূজা করতে করতে বিজ্ঞানকে খোদা বানিয়ে বসে থাকে।
'সুপারন্যাচারাল কিছুর অস্তিত্ব নেই' এর পক্ষে বিজ্ঞানের কাছে কোনো প্রমাণ নেই, বেস্ট রেজাল্ট নেই৷ তাই বিজ্ঞান, সুপারন্যাচারাল কোনো অস্তিত্বকে অস্বীকার করেনা। ন্যাচারালিজম আর সায়েন্স এক না। দুইটা আলাদা জিনিস।
হামজা জর্জিস একটা সুন্দর উদাহরণ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, মনে করেন আপনি একটা বড়ো প্রাসাদে ঢুকলেন। দেখলেন অনেকগুলা রুম। একটা খুলে ভেতরে ঢুকে দেখলেন খালি কিছু চেয়ার টেবিল যত্রতত্র পড়ে আছে। এরপর আপনি বাকি রুমগুলো না দেখেই বের হয়ে চলে এলেন। আর তারপর সবাইকে বলতে লাগেন, প্রাসাদটা ফাও, কিছুই নেই, সব চেয়ারটেবিলে ভর্তি। এটা কি র্যাশনাল? আপনি তো বাকি রুমগুলো দেখেন নি। তাহলে আপনি সেখানে কিছু নেই বা শুধু চেয়ারটেবিল আছে, এটা কীভাবে মন্তব্য করতে পারেন?
ঠিক এই কাজটাই নাস্তিকরা করে। তারা ন্যাচারালিস্টিক ওয়ার্ল্ডভিউ গ্রহণ করে যেটা আদতে র্যাশনাল না। আর সেটার সাথে সায়েন্সেরও সম্পর্ক নেই। কিন্তু একেকজনের এমন ভাব থাকে, যেন অনেক বড়োসড়ো বিজ্ঞানী।

চলমান লেখা...

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.