চিন্তার মানদণ্ড

এইযে আজকের তরুণ প্রজন্ম, আমরা, আমাদের জন্ম এক ভিনদেশী সভ্যতার মাঝে। বিশ্বের ক্ষমতা যেই জাতির কাছে থাকে, তাদের সভ্যতাও ডমিনেটিং হয়। আর যদি কনস্ট্যান্টলি সেই সভ্যতাকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য পুশ করতে থাকা হয়, তাহলে তো আরো বেশি! তাই, আমরা বৃহৎ অর্থে পাশ্চাত্য সভ্যতারই অংশ। তাদের ভ্যালুজগুলো আমরা লালন করি, জেনে কিংবা না জেনে!

আমাদের অনেক ভাইবোনেরা হয়তো কখনো জন স্টুয়ার্ট মিলের নামও শোনেননি। কিন্তু প্রতিনিয়ত হার্ম প্রিন্সিপাল ব্যবহার করে যাচ্ছেন। কাউকে কোনো খারাপ কাজ ছাড়তে বললে বলে বসেন, "আমি তো কারো ক্ষতি করছি না!" এগুলো এমনি এমনি হয়নি। এগুলো বুদ্ধিবৃত্তিক উপনিবেশবাদের ফসল।

পশ্চিমারা শারিরিকভাবে উপনিবেশিক শাসন থেকে সরে গেছে, কিন্তু বুদ্ধিবৃত্তিক উপনিবেশবাদ চলছে। এজন্যই আমরা যখন কমন সেন্স দিয়ে কিছু বিচার করি, মনে রাখা জরুরী যে এই 'কমন সেন্স' মূলত তাদের বেঁধে দেয়া কমনসেন্স। ঠিক এজন্যই আমাদের কমনসেন্সে ইসলামের বিভিন্ন বিধান বর্বর লাগে, উদ্ভট লাগে, প্রাচীন লাগে।

আসল সমস্যা আমাদের চিন্তার মানদণ্ডে, একটু চিন্তা করতে হবে। পেছনে যেতে হবে, গোড়ায় যেতে হবে, নাহয় দিনদিন ধর্মত্যাগী বাড়বে। এটা ধর্মের দুর্বলতা না, এটাও পেশিশক্তি, জোর যার- কথাও চলবে তার, আইডিওলজিও তারটাই চাপিয়ে দেয়া যাবে। তাই, ভাইবোনেরা চিন্তা করুন।

ক্রিটিকাল থিংকিং করুন, নিজের কমনসেন্সকেই প্রশ্ন করুন। কোত্থেকে এলো এই কমনসেন্স? এই কমনসেন্সের মানদণ্ড কি? এই কমনসেন্স কি সত্য? নাকি মিথের মতো বিশ্বাস করে চলেছেন! চিন্তা করুন। পুরো প্রসেসটাকে নিয়ে চিন্তা করুন৷

চিন্তার মানদণ্ড বদলালে তবেই জীবন বদলাবে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.